কুমিল্লায় পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযোগে ১২ জন গ্রেফতার

কুমিল্লা প্রতিনিধি :

কুমিল্লা শহর ও শহতলীর সড়ক ও মহাসড়কে বিভিন্ন পরিবহনে চাঁদাবাজির অভিযানে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১ এর সিপিসি-২ এর দল। শনিবার রাতে কুমিল্লা মহানগর ও সদর দক্ষিণ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় র‌্যাব ১২ হাজার দুইশ টাকা উদ্ধার করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

র‌্যাব জানায়- দীর্ঘদিন যাবৎ পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানার বিভিন্ন রাস্তায় অটো, সিএনজি, মিশুক, ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান ইত্যাদি পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের নিকট হতে জোড় পূর্বক টাকা গ্রহণ করে আসছে। কুমিল্লা র‌্যাব বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপজেলা এবং থানা হতে ভূক্তভোগীগণ এ ব্যাপারে মৌখিক এবং লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে তদন্ত করে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে পরিবহন চাঁদাবাজী নিশ্চিত হন।

এরই জের ধরে ২৯ জানুয়ারি রাতে কুমিল্লা জেলার কোতয়ালী এবং সদর দক্ষিন থানায় অভিযান পরিচালনা করে ১২ জন পরিবহন চাঁদাবাজ চক্রের স্বক্রিয় সদস্যকে ১৬৫টি টাকা আদায়ের রশিদ ও নগদ ১৪ হাজার ২’শ টাকাসহ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- কুমিল্লা সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের মৃত শফিকুল ইসলামের পুত্র মাসুদুর রহমান(৪০), বল্লভপুর পশ্চিম পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র রনি (যশপুর), মহানগরীর চকবাজার এলাকার মৃত আব্দুস কুদ্দুসের পুত্র মো: জনি (কালির বাজার); শুভপুরের সঞ্জয় চন্দ্র দাসের পুত্র প্রকাশ চন্দ্র দাস (পাথরিয়াপাড়া) ও কাশারিপট্টি।

এলাকার জলিল মিয়ার পুত্র মোঃ শুভ(২২), মুরাদপুর এলাকার রওশন আলীর পুত্র মোঃ দেলোয়ার হোসেন(৪০), নাঙ্গলকোট উপজেলঅর গংগারচর এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র মোঃ মিজান(২৪), আশ্রাফপুর এলাকার কামাল হোসেনের পুত্র মোঃ জিহান(১৯); গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার রাওনাইট গ্রামের মৃত আযহার আলীর পুত্র মোঃ তানভীর(২০), চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার কইলাইন এলাকার মৃত অহিদ মিয়ার পুত্র মোঃ আকাশ (২০),পঞ্চগড় জেলার আওটআরী উপজেলার রামপুর রাখালদীঘি এলাকার ফয়সালের পুত্র মোঃ জুয়েল(২১), কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীরের পুত্র মোঃ সাকিব(১৯)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত দায় স্বীকার করেছে।

কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান- কুমিল্লায় বিভিন্ন পরিবহন চাঁদাবাজরা সরকার নির্ধারিত স্ট্যান্ড ব্যতীত অননুমোদিত স্থান হতে এবং উপজেলা কর্তৃক ইজারাকৃত জায়গায় নির্ধারিত টাকার পরিমানের চাইতে বেশী টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নিচ্ছে। পরিবহন চালকরা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এসব চাঁদাবাজরা চালকদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে আঘাত করে চাঁদা আদায় করে যা বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বর্তমান সময়ে এসব চাঁদাবাজদের এহেন কর্মকান্ডে সাধারন জনগণ বিভিন্ন ধরনের হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছে। যার শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১২ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
error: ধন্যবাদ!